কবিতা
আবছায়া আলো-অন্ধকারময় নীল
রঙের
কোনোরকম রসায়ন না জানা নীল—অজান্তে ভালোবেসে ফেলে হলদেকে
এবং
নিজেকে আরও গাঢ়তর নীল করে তুলবে ভেবে ভুল করে মিশে যায় হলুদের
সাথে
এবং ক্রমে ক্রমে নিজেকে আবিষ্কার করে সে সবুজ ঘাসের বিথান প্রান্তরে।
তবে
অবহেলা আর অযত্নে বেড়ে ওঠা শরীরের স্তরে থোকা থোকা শ্যাওলাময় নীল
যখন
বুঝতে শেখে নীলে আর হলুদে মিলে সবুজ হয়ে যায়, তখন ফিরবার আর
কোনো
পথ সামনে খোলা থাকে না। ফলে আবছায়া আলো-অন্ধকার ভেমে ওঠা
কোনো
এক অপার্থিব মুখায়ব সে বিনির্মাণ করে যায় শ্যাওলা-জমা উচ্ছিষ্ট ক্যানভাসে।
একদিন
স্বপ্নের ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘ মিলেমিশে ঘনায়মান হয়। ভালোবাসার মোহে
অথবা
নিষিদ্ধ কৌতূহলে, নীল ভালোবেসে ফেলে তার নিজস্ব জগতের একান্ত
স্নিগ্ধতাকে।
তাই কোনো এক অজানা বিকেলের ম্লান হওয়া হলদে আলোয়
ঘরে
ফেরার তাড়া-খাওয়া হাজারো ক্লান্ত ও বিষণ্ণ নাগরিক মানুষের ভিড়ে—
খসে
পড়া নক্ষত্রের মতো সাদাকে হলুদ ভেবে ছুটে যায়; উদভ্রান্তের মতো ছুঁতে চায়,
কাছাকাছি এলে দেখা
পায়—পরনে ঢাকাই শাড়ি, কপালে রক্তিম ক্ষত।
কবিতা-মানুষ
যেখানে
পৌঁছায়নি মানুষ—সেইখানে রাখে পা
যেখানে
ফিরবার কথা—সেখানে ফেরে না।
যে
মানুষ জন্মেছে কবি হয়ে—
সেই
তো জানে শব্দের জন্মচিৎকার;
চাতকের
সাথে তার গাঢ় হৃদ্যতা। সিঞ্চিত আইলের পাশে বাঁধে বাসা,
সিংহদরজার
উপরে ঝুলানো কাটা হরিণের মাথা।
এই
শীতে যদি ঝরে যায় পাতা, হবে না শোনা বসন্তের গান,
কেবল
কবিই পারে, হেঙ্গলের খুঁজে নিতে চাঁদের কারুকাজ।
No comments:
Post a Comment