Wednesday 20 December 2017

দে বা য়ু ধ চ ট্টো পা ধ্যা য়




দুটি কবিতা





মার্গতব্যা

মুখে রঙ মেখে যদি উঠে আসো কালীঘাট ব্রিজে
তাহলে ট্র্যাফিক জ্যাম লেগে যাবে বালিগঞ্জ ফাঁড়ি অবধি, ওদিকে খিদিরপুর
প্রতিটি গাড়ির চাকা অতর্কিতে ব্রেক কষে গরমের দিনে
শুষে খাবে ঘামে ভেজা সুষমা তোমার
ক্ষুধাতুর ভিখারীর অন্তিম ভরসা তুমি খেতে দাও জল দাও
খিদে হয়ে ফিরে এসো কমপক্ষে দিনে চারবার
তোমার সিনা ও রাং, বাঁট ও বোঁটায় মুগ্ধ বিবিধ পুরুষ
তুষার রায়ের মতো পদ্য লিখতে শিখে যাবে এবং অসংখ্য কবি
রহস্য চোখের গাঢ় দৃষ্টি না বুঝতে পেরে অক্ষর হারিয়ে ফেলে পানশালা যাবে
প্রিয় নীল, নেশা হও, জলের গভীরে ডোবা শীতল স্নানের মতো
ছায়াময় তোমার শরীর নীলের ভেতর নীল নীলিমায় ছড়িয়ে গিয়েছে
যোনিতে রসের ধারা, রসিয়ার বাঁশি আমি কাঁচা মাংসের ঘ্রাণে
সাবলীল দুপুর ঘনায়, ছাতি ফোলানোর পালা শেষ করে
প্রিয় নীল, এতদিন পর ভোরের আলোয় লীলা, সন্ধ্যা মধ্যরাতে
অবিরাম লীলা সেরে শুয়ে পড়ো আকাশের গায়ে
তোমার নাভিতে মেঘ তোমার উরুতে মেঘ জলভরা কালো মেঘে
মেঘ জমে রোঁয়ায় রোঁয়ায় শ্রাবণের কলকাতা তোমার অপেক্ষা করে
আস্বাদনে অমলিন হওপ্রিয় নীল অত বিষ গিলে যদি নীলকণ্ঠ হই
অমৃতের মোহে তবে আমাকে মন্থন কোরো, রতিরম্ভে অমরতা দিও
হৃদাসন সাজাইয়া শোয়াইয়া রাখিবো তোরে হৃদাসন বিছানা আমার
ঠোঁটে কালো লিপস্টিক, নদীর শিয়রে এসে দাঁড়িয়েছ
প্রিয় নীল, কড়ি দিয়ে দু’প্রহর কিনেছি তোমাকে
প্রিয় নীল চোরাবালি, আমার পা আটকেছে এবার ডুববো দ্যাখো হৃদয়সমেত ।।  


চৈত্রের জন্য একুশ লাইন

চৈত্র থেকে শ্রাবণে পৌঁছনো বলতে আমি ভদ্রমহিলার মতো
যে মেয়েরা শাড়ি পরে শুদ্ধ বাংলায় কথা বলে
তাদের ঘাগরা চোলি পরিয়ে ভোজপুরি আইটেমের তালে
মুজরো নাচানো বুঝি টিপটিপ বৃষ্টিতে ভিজে গ্যাছো
এইবার ঝড় তুলে আরো বেশী ভেজাবো তোমায় ছিলিমের মতো আজ
কৃতাঞ্জলি পুটে তোমাকে সেবন করব নেশা হবে, হ্যাল হবে
বাইরে আঝোর ধারাপাত দ্বন্দে বস্তুবাদে বিরহের সালোকসংশ্লেষে
পাতা ও ফুলের জন্ম। নিটোল স্তনের মতো রামধনু হয়ে
ফুটে ওঠো আকাশে আমার। সাতটি রঙের মতো সাতজন নিপুণ পুরুষ
সাতটি তারার রাতে মিলেমিশে তোমার অতীত
চাঁপাকল ঘাঁটে নদী ও গাঁজার ঘ্রাণে অশৌচে আমিষ হয়ে ওঠে
ওই চোখে বিদ্যুতের মতো যদি এক মুহূর্তে চলকায় খিদে, ভালোবাসি
ভালোবাসি জঙ্ঘা, ভালোবাসি গোড়ালির নিরীহ দুঃসাহস
গোপন তিলের স্মৃতি নিভৃত গ্রীবার খাঁজে ভালোবাসি। ভালোবাসি নিহিত অহং
চৈত্র থেকে বৈশাখের পর জ্যৈষ্ঠ অতিক্রম করে আষাঢ় শ্রাবণ অবধি দৌড়ে এসে
ঘেমে গেলে ভালোবাসি কাঁধ বেয়ে নেমে আসা ঘামের প্রপাত
হালকা সিমে জাল দিলে ব্যক্তিগত সোঁদা গন্ধে রসিয়ে খাবার মতো
ভালোবাসা পানযোগ্য হয়। যদি তুমি মহাবিশ্ব, ভূকম্পনে কেপে ওঠো
ধারণ করেছ যদি, অসময়ে দাঁড়িয়েছ যদি এসপ্ল্যানেডের মোড়ে
গিলে খাও শহীদ মিনার। রাতের ট্যাক্সির সীটে ফেলে আসা শহরের খোঁজে
থানায় ডাইরি করবো। প্রমাণ কিছুই নেই, সাক্ষী শুধু শিমুলে মেহন।।       

No comments:

Post a Comment