কবিতাগুচ্ছ
গুলমোহর
দেওয়ালে আলোর চাকতি বিকেল
কাঠের মিলমিশ না হওয়া দিয়ে ধুলোদের মহোৎসব
দেখতে দেখতেই উড়ে যায় মেয়েকাল
অজানা সাঁকো হলুদ ঝুমকো কথার ফাঁকে লুকোচুরি
ড্রয়িং খাতায় গাছের কিছু পাতার শুধু ঝরে যাওয়া বাকি
লক্ষ যুগ আগে আগুনে ঝলসে নিয়েছিলে ভুখ
মশালের গায়ে আঁকা তোমার নিরপেক্ষ নালিশ
বড়ো তীব্র পার হওয়া আমাদের ভুলবারান্দা
অপেক্ষার ধর্ম সমস্ত মহাকাব্য ছুঁয়ে থাকে
আমাদের ঈশ্বর অথবা কমন প্যাসেজ।
নির্দিষ্ট
সাদাকালোয় নিজের যতো ভুল বের
করেছো
সিন্দুক পালটে ফেলতেই চাঁদ উঠে
আসে
অবাক চোখ জলের পর্দা ভেদ করে
দেখে
তুমি মালিকানার দায় নিয়েছো
অকুণ্ঠ।
ওরা হাসে ভালোবাসে
ওরা তোমাকে জড়ায় প্রাণপণ,
তোমার ফেরা।
ওরা কাঁদে ভালোবাসে
অশীতিপর হাত, ভেজা চিবুক মাখি...
নদী হই।
গাছেরা ছায়া মাখিয়ে দেয় স্রোত
জুড়ে
তুমিমুখী ধারায় পাশাপাশি চলি।
ঠাকুরঘর
মার্বেল মেঝে, শান্তি
ধুপের ছাই কয়েক পরত ভক্তি
ভক্তি
কজন্ম সিঁদুর লেপটে আছো মুখ?
তোমার দৈবী ঝুলপড়া রাজত্বে
দৈনিক
ভিখারি, লুটেরা... দাও শান্তি সুখ।
উপোষ সাজায় নৈবেদ্য
ফলের বদলে ফললাভ
ভোগের বিলাসী ভোগদান...
সন্ধ্যের প্রদীপে ত্যারছা
পাপস্খলন
শ্বেতরক্তচন্দন কোশাকুশি
গঙ্গাস্নান।
ভালো লাগল।
ReplyDelete