কবিতাগুচ্ছ
মে ঘ অ দি তি
দা স্পাই
প্রিন্সেস
কনসেন্ট্রেশন
ক্যাম্প থেকে বলছেন?
আহ.. থামুন...
নীল পোশাকে ধূসর
পুলওভারের
‘দা স্পাই
প্রিন্সেস’কে আমরাও চিনি
কী বললেন!
মধুবালাকে মনে পড়ে?
বস্তুত মহীশুরের
বাঘ রাজা টিপু সুলতান,
শুনেছেন নাম?
প্রিন্সেস নুর
ইনায়েত খান তাঁরই বংশধর
দ্বিতীয়
বিশ্বযুদ্ধ,
আন্ডার কভার
রেডিও অপারেটর
হ্যাঁ ঠিক, ‘নোরা বেকার’
প্যারিসে
সাকুল্যে ছ’মাস। সশস্ত্র
গেস্টাপোর হাতে বন্দী।
গেস্টাপোর অকথ্য
নির্যাতন সয়ে প্যারিসে বন্দীদশা কাটিয়ে
ব্যর্থ নোরা
অথবা নুর
ডাকাউ
কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প করেছিল তার শেষ বিচার..
কবিতার পাখি, গানের পাখি নুর, আপনি কি জানেন
ফরাসী সামরিক
বাদক দল প্রতি বাস্তিল দিবসে যখন
আপনাকেই সম্মান
জানায়
সভ্যতার শরীরে
তখনও জুড়তে থাকে অসংখ্য তারকা- ক্ষত-চিহ্ন
সুফিজন্ম
কেমন
সন্ধ্যা থেকে আলো
চুরি হলে
গান লিখতে লিখতে
ফুরিয়ে যায় সুর
পড়ে থাকে বাক্ ও
খোলা পিঞ্জর
হয়ত তুমি
আলো কিনতে কিনতে
এবার ভাববে
তেমন সুফীজন্ম
পেলে এক পাখি মানুষ হওয়া যেত
অথবা ভালোবাসা
এই যে ডুবে আছি
জ্বরের ঘোরের ভেতর,পাতাবাহারের রঙ খসে না-মানুষী বিষমাখা হা হা ওই হাসি কাঁপিয়ে দিচ্ছে আমার হাড়, এ কিছু নয় - এসব দৃশ্যের ভেতর উড়ে বেড়াচ্ছে এক ঝিনুকজন্ম ও বিস্ফোরক।
জ্বরের ঘোরের ভেতর,পাতাবাহারের রঙ খসে না-মানুষী বিষমাখা হা হা ওই হাসি কাঁপিয়ে দিচ্ছে আমার হাড়, এ কিছু নয় - এসব দৃশ্যের ভেতর উড়ে বেড়াচ্ছে এক ঝিনুকজন্ম ও বিস্ফোরক।
ভালোবাসার অদৃশ্য পাখিটা আগের মতোই গান গাইছে আর
একটা পুরনো আয়নায় মুখ রেখে তুমি আঁকছো তার উত্থান ইতিহাস-
একটা পুরনো আয়নায় মুখ রেখে তুমি আঁকছো তার উত্থান ইতিহাস-
বিপ্লবীরা কে কোথায়?
সন্ধের বুকে তোমাদের ঘ্রাণ মুছে কতদূর যেতে পারে এই প্রৌঢ় পৃথিবী!
দাম্পত্য
কিছু আগেও ছিল টুং টাং, গ্লাসে চামচে সখ্যতা
তারপর
বুম বুম.. . ব্যস..
পাশাপাশি
দুটো ঘর যার একটিতে এখন আলো জ্বলছে। অন্যটি অন্ধকার।
আলো-
অন্ধকার
মধ্যরাতের
হাইওয়ে ধরে
অনন্তে
চলেছে দুটো অন্ধ যান
আলো-
অন্ধকার
চোখের
জল প্রকৃত উজ্জ্বল নয়..
এ
সমস্ত নিয়ে কী যেন বলবার ছিলো আমার..
তুমি
কি এন্ড্রোমিডা,
আমার গ্যালাক্সী থেকে বহু বহু দূরে?
আমার গ্যালাক্সী থেকে বহু বহু দূরে?
--------
কেউ নেই
চাঁদ তখন দীর্ঘশ্বাস
আর জল ছেড়ে সে পৌঁছে গেছে ঘাসের ডগায়। উইন্ডো শপিং থেকে টিপের পাতায়। পিন থেকে
আলপিনের মাথায়। দিগন্ত ভরা হলুদ কারনেশন আবার তাকে পৌঁছে দিচ্ছে অন্তরীপে। আকাশ
থেকে টুপ, সেই যোগতারা ফের।
আর একটা সেতু জুড়লেই রুবাই পৃথিবী...
মউল
মধু। কফিশপ।
তারপর
শূন্য আঁকবে সমস্ত লোহিতকণিকা...
কোথাও কেউ নেই। আসলে কোথাও কেউ ছিল না।
বিশুদ্ধ রাগ
আরো কিছুকাল
কেটে যাক ব্যক্তিক
আখ্যানে
আরো কিছু অন্ধতার
কাল
তার আগে
অতিমুগ্ধ তারাপথ
ধরে
উড়ে যাক পিন ভেঙে
একটি বিশুদ্ধ রাগ
তোমাদের দিকে
এই আমি চাই..
আরো কিছুকাল
আরো কিছুকাল..
কোনটা ছেড়ে কোনটা যে বলি !
ReplyDeleteকয়েকটি পঙতি গেঁথে রইলো বড়শিগাঁথা মাছের মতন, ছেড়ে না যাবার আয়োজনে।
আরো কিছুকাল
আরো কিছুকাল
____আইজাক সাহা।