কবিতাগুচ্ছ
স্রো ত
স্বি নী চ ট্টো পা ধ্যা য়
যাচঞা
তোমাকে চেয়েছি সেই কোন জন্ম থেকে
আজ ভুলেই গেছি প্রায়
এখন ভূতগ্রস্থ হয়ে ঠায় বসে আছি
যদি কখনো চিনতে পারো
চারিদিকে আঁধার নেমে আসে
এই তো সেই ক্ষণ
উতসব শুরু হবার...
ছায়ার ভিতর রূপ ঝলক দিয়ে ওঠে
মনে পড়ে
এই হাঘরে কতকাল একলা বসে আছি
দিকচক্রবাল
এমন যমকালো
রাতে
কিছুটা
দূরে শোনা যায় ধূসর কলরব
কারা
কোথায় হারিয়ে যাচ্ছে
কার
যেন শব
পাহারা
দিচ্ছে একফালি চাঁদ
পুড়ে
যাচ্ছে অবাধ কেয়াবন
মাঝি
ধীরে চালায় নৌকো
যুবক
তার মন বুঝে
প্রার্থনা
করে,
ওঠো
হে বিষাদ
জাগো
এই সন্ধিতে জাগো
দু
বাহুর প্রান্তে চোরাটান
ভৈরবীর
সুরে তুমি বাঁধো
যা
কেউ শোনেনি, সেই তান
যেদিকে
ফিকে হয়ে আসে অকাল শ্রাবণের হাওয়া
সেখানে
ডুবে আছে
মুঠিবদ্ধ
হিমশান্ত ছায়া
খড়কুটোর কথা
প্রথম ভোরের আলোয়
চলে যাওয়ার সময়
দরজার কোণে রাখা চটি ভুলে যায় তার
আদিম নিবাস
রঙিন পর্দা কেঁপে ওঠে সামান্য
যেন দীর্ঘ বছর পরাজয়ের পর
এই স্পন্দনটুকুই তার একমাত্র জয়
বাইরে বেসামাল হাওয়া
দু একটি পাখি কেবল বুঝতে
পারে
কোথায় দূরে মেঘ করেছে খুব
প্রাচুর্য
কয়েকটা দিন খেলারছলে কেটে গেল
এখন এই জেতা বাজির দান
স্মৃতির ভিতর কুঁকড়ে যাওয়ায় পোকার
মতো
এবার সমস্ত কিছু গুটিয়ে নেওয়ার
পালা
কেননা, এই জীবনের দিকে ঢের চেয়ে
দেখেছি
প্রাচুর্য নয়
কেবলমাত্র অল্প একটু ছায়াই সম্বল
No comments:
Post a Comment