Thursday 21 December 2017

সর্বজিৎ সরকার

ধারাবাহিক গদ্য



আবহমান কথাভুবন

পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কবিদের রচনা কোন প্রথম আলোর জন্ম দেয় যেন। যে আলো কোনদিনও দেখা হয়নি আগে। অথবা যে ছিলই কিন্তু এই প্রথমবার, এই সাদা পাতায়, কালো হরফের প্রতিস্থাপনের মধ্যে দিয়ে, তাকে আবিষ্কার করলাম আমরা। কথা যে জানল সে পাঠক। কবি নয়, শুধু তার সৃষ্টির আলোর বিভা, তার তাপ, তার উজ্জ্বলতার প্রবাহের ভেতর নিজেকে আবিষ্কার করে নেওয়া শুধু। এটুকুই পাঠকের প্রাপ্তি। এবং জীবনানন্দের রচনাভুবনের সামনে এলে সেই আলো কে আজ অন্তহীন বলে মনে হয়।
কবিতার জন্মের কথা, জীবন আর শিল্পের সম্পর্ক সূত্রের কথা, শিল্প শিল্পীর মধ্যে যে অন্তর্লীন বেদনাজাত টানাপোড়েন থাকে, সেই সকল রহস্যসূত্র যেন বিস্তার পায় তার সব লেখার মধ্যেই।
জীবনানন্দ সেই বিরল প্রজাতির রচনাকার যাঁর কাছে লেখা শুধু কিছু অনুভব, কিছু বোধ, কিছু মেধাবী বিশ্লেষণ নয়। বরং তার থেকে অনেক বেশি কিছু। তাঁর লেখা সব অর্থেই মানুষের অস্তিত্বের এক ক্রম উন্মোচন। তার ভাষার শরীরে তাই এত বেশি রক্ত মাংসের ঘ্রাণ লেগে থাকে।
বিকেলের ধূসরতার ভিতর যখন সবুজ ঘাসের পরে হাঁটতে থাকি...বটের নিচে উপকথার পথিক গিয়ে দাঁড়ায় এক মুহূর্তের ভিতরেই সমস্ত অতীত ভবিষ্যতের প্রেম, স্বপ্ন সফলতার সঙ্গে নিজের সম্পর্ক খুঁজে পাই আমি, এই সৃষ্টির রহস্যের ভিতর নিজের রহস্যময় হৃদয়ের সঙ্গে আলো অন্ধকারের পথে অবিরাম চলতে ইচ্ছে করে ( কারুবাসনা)
অথচ একুশ শতাব্দীর এই সর্বব্যাপী জ্ঞান ক্ষমতার যুগে আমরা যারা, পৃথিবীর পথে এই নিহত ভ্রাতার ভাই হয়ে অপরের মুখ ম্লান করে দেওয়া ছাড়া প্রিয় সাধ নেই জেনে বেঁচে আছি, তারা এও জানি, বিজ্ঞান তো সংকলিত জিনিষের ভীড় শুধু বেড়ে যায় শুধু; তবু কোথাও তার প্রাণ নেই বলে অর্থময় জ্ঞান নেই আজ এই পৃথিবীতে; জ্ঞানের বিহনে প্রেম নেই



যে মুহূর্ত-অবসেসড বর্তমানের মধ্যে আমরা বাঁচি সেখানকার সাথে তাঁর লেখার জগতের বাস্তবতা, তার জীবনপ্রবাহ, তার কামনা আর হিংসা আর স্বপ্নসম্ভাবনার পরিসরের যোজন দূরত্ব।
আপাতভাবে, তাঁর সমসাময়িকদের অনেকের মনে হয়েছিল, লেখা মিথ্যা, বাস্তবতার থেকে দূরে সরে যাওয়া। তাঁরা বোঝেননি জীবনানন্দের যাবতীয় লেখালিখি আসলে এক ধরণের সাবভার্সান। খুব ভেতর থেকে এক বিস্ফোরণের বীজ বপন করা। যা সব ধরণের স্থিতাবস্থার বিরুদ্ধে মানুষের সত্যকে খুঁজে নিতে চায়।
আর ঠিক এই কারণেই তিনি, স্বতন্ত্র হয়ে উঠেছিলেন তাঁর সমসাময়িকদের থেকে। স্বেচ্ছায়, সচেতনভাবেই বেছে নিয়েছিলেন এই নিয়তি যে সমকাল তাঁর মূল্য দেবে না। বরং উপহাস করবে। উপেক্ষা করবে। দূরে সরিয়ে রাখবে তাদের সভা সমিতি কোটারী মাফিয়ামণ্ডলী থেকে।
আর জীবনানন্দ, নিজেকে সমসময়ের কোন ভিকটিম ভাবার পরিবর্তে অত্যন্ত  সচেতনভাবে, স্বেচ্ছায়, সেই অবস্থানই বেছে নিলেন যা তাঁকে বলেছিল, to be an artist is to be condemned foreverএই অর্থে তিনি সেই প্রজাতির শিল্পী যিনি দস্তয়ভস্কি, মানিক, বিভূতিভূষন, কাফকা, ভ্যান গঘ, বা রিলকের আত্মার দোসর। তিনি জানতেন যে সত্যকে তিনি খুঁজছেন সমাজ তাকে বৈধতা দেবে না কখনও।
কাফকার গল্পের সেই লোকটাকে মনে আছে? যে নিজেকে আদালতের কাছে সমর্পণ করতে চেয়েছিল। আদালতের দারোয়ান তাকে বলে ভেতরে আরো অনেকগুলো দরজা আছে, এবং প্রতিটি ঘরের সামনেই আরও একজন করে দারোয়ান পাহারায় আছে, যে আগের জনের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী। একথা শুনে লোকটি ঠিক করল সে এখানেই অপেক্ষা করবে। এই ভাবে দিন গেল, বছর গেল, এবং এক সময় লোকটি অপেক্ষা করতে করতেই সেখানে মারা গেল। মৃত্যু যন্ত্রণায় গোঙাতে গোঙাতে লোকটি দারোয়ানকে জিগ্যেস করেছিল, এটা কি কখনও সম্ভব যে এতদিনে আমি ছাড়া আর কেউ দরজা দিয়ে ঢুকতেই চাইলো না? দারোয়ান উত্তর দিল, আর কেউ কখনো প্রবেশ করতে চায়নি কারণ এটা শুধু তোমারই নিয়তি ছিল আর এবার আমি দরজাটা বন্ধ করে দেবো

জীবনানন্দ সরিয়ে নিয়েছিলেন নিজেকে। সমকালীন সবরকমের সভা-সমিতি-প্রাতিষ্ঠানিক-সুলভ-দুর্লভ সঙ্ঘশক্তির প্রলোভন ইশারা থেকে। এমনকী তার সমালোচকদের অবান্তর আক্রমণের জবাবেও অনায়াসে তাই তিনি কবিযশোপ্রার্থী বয়সে তরুণ তাঁর ভক্ত যুবকদলকে বলতে পেরেছিলেন, তিনি আমাদের কথঞ্চিৎ উত্তেজিত, যদিও বিনীত, নিবেদন শুনলেন। তারপর বেশ নিভন্ত কণ্ঠস্বরে বললেন, এসব ছেপে কী হবে? ওঁরা যখন থাকবেন না, আমিও থাকবো না। এবং আপনারাও নির্ঘাৎ বুড়ো হয়ে পড়বেন। তখন হয়ত ব্যাপারটার একটা অন্যরকম যাথার্থ্য নির্নীত হবে, বা হয়ত হবে না। সব ছেপে কিছু হয় না। ছাপাবেন না’” (আলেখ্যঃ জীবনানন্দ / ভূমেন্দ্র গুহ)
কেমন মানুষ যিনি রাত জেগে লিখে চলেন! সমাজ, সংসার, উপার্জন, প্রাপ্তি, প্রতিষ্ঠা, সফলতা নিষ্ফলতা কোনও কিছুরই কোন হিসাব রাখেন না! বুঝতে পারেন, হয়ত এই সব প্রলাপ, এই স্বগতোক্তির কোনও অর্থই নেই কারো কাছে। তবু এই গোধূলিসন্ধির চরাচর সৃষ্টির অমোঘ ডাক তাঁকে তাড়া করে ফিরবে সারাজীবন। মুহূর্তের থেকে অনন্তের মধ্যে, নশ্বরতা থেকে অবিনশ্বরের মধ্যে, ঝোড়ো বাতাসের বার বার ধাক্কার মধ্যেও যে দীপশিখা কেঁপে উঠেও নিজেকে ধরে রাখতে চায়, তার মতোই নিজের সৃষ্টির প্রতি অবিচল থাকতে চাইবেন। অথবা হয়ত তিনি চেয়েছিলেন, তাঁর সৃষ্টি যেন কোনও স্ফটিক খণ্ড হয়। দশ দিক থেকে আলো এসে পড়ে তার ওপরে। সে আলোর প্রতিফলনে আরও সহস্র আলোর বিচ্ছুরণ যেন উৎসারিত হয় তার সৃষ্টির চরাচর থেকে।
এই সমাজ তাকে মিথ্যাবাদী বলবে। প্রবঞ্চক বলবে। হয়ত প্রতারকও বলতে পারে। তবু এই যে শব্দরাশি যা বারবার বুকে এসে আঘাত করে, বলে, আমাদের সাজাও, আমাদের সাজাও, আমরা নগ্ন কুৎসিত হয়ে পড়ে আছি, তুমি সাজাতে জানো, তোমাকে আমরা চিনি। তুমি শৃঙ্খলার ওস্তাদ, তুমি আমাদের তুলে ধর তোমার হাতে আমরা সুন্দর হব, এই তাড়না, এই আমন্ত্রণ তাঁকে ক্রমাগত গ্রাস করে নেবে।
অথচ, জীবনানন্দ জানতেন, লিখনের এই প্ররোচনা কী মর্মান্তিক হতে পারে। কতটা অসহনীয় হয়। এই দায়িত্ব স্বীকার করে নেওয়ার আগে বা পরে কী তীব্র অস্থিরতাকে সহ্য করতে হয় নিজের ভিতরে।
নিখিলকে লক্ষলক্ষ লোকের থেকে বেছে নিয়ে এই যে চিন্তার পর চিন্তা, অজস্র উৎশৃঙ্খল শব্দের পর শব্দ সঙ্গে করে নিয়ে এসে দিনের পর দিন তার বুকে আঘাত করতে থাকে, নিজেরা এই যে রূপ হতে চায় কি গভীর অত্যাচার এই  ( আর্টের অত্যাচার/ জীবনানন্দ সমগ্র ৮ম খণ্ড)
সৃষ্টির আহ্বান তাঁকে ক্রমশই আরও বেশি একা করে দেবে। তবু, আরও যা গভীর, আরও যা নিহিত আছে স্মৃতি, সময়, সম্পর্ক, মানুষের অস্তিত্ব আর মহাকালের মানচিত্রের মধ্যে তার সবকিছুই ধারণ করতে হবে তাঁর সৃষ্টিকাজের মধ্যে দিয়ে। তাঁর কবিতায়। তাঁর গদ্যে। নিরন্তর। আলো-অন্ধকারের নির্জন পথে সর্বস্ব বাজী রেখেছেন যে তিনি। কোনও নিয়তিতাড়িত জুয়াড়ির মতই যেন। আকাশে বাতাসে নক্ষত্রে রাস্তায় ঘাটে বাজারে নর্দমায় রোজই ব্যক্ত হয় যে ছবি সেই ছবিও আঁকবেন তিনি। এই সব ছবি মনকে এমন কোনও আঘাত দিতে পারে না যাতে আদালত অফিস হসপিটাল ডিসপেনসারি কলেজ সবই ছাই হয়ে যায়তবু আঁকবেন। কেননা সে ছবি আঁকবার অদম্য কামনা তাঁকে বিধাতার চেয়েও নিবিড় করে পেয়ে বসেছে তিনি তো পরিত্রাণ চাননি কখনো। তাঁর কাছে, এই মারাত্মক নিরুপম আনন্দ, জীবনের সব আনন্দ এখানে ধূসর হয়ে যায়। এই মারাত্মক নিরুপম স্পৃহার বেদনা, এর অবর্ননীয় রক্তাক্ততার কাছে জীবনের সমস্ত ব্যথা বার বার ধূসর হয়ে গেছে  ( আর্টের অত্যাচার/ জীবনানন্দ সমগ্র ৮ম খণ্ড)
স্বনির্বাচিত এই দণ্ডাজ্ঞার ছায়া প্রকৃত কবিই শুধু বেছে নেন। চারপাশের এই বস্তুজগৎ নিজেকে আড়ালে রাখে আমাদের থেকে। আমরা দেখেও দেখিনা তাদের নিহিত রূপ। প্রসঙ্গত রিলকেও ভেবেছিলেন এই ভাবেই। সে বস্তুজগতের প্রশ্বাসের প্রতিধ্বনি ওঠে আমাদের বোধের নিহিত আবছায়ায়। আমরা শুনেও শুনিনা তাদের। কবি সেই বস্তু পৃথিবীর হৃদয়কে উন্মোচিত করেন।   এক নতুন জগৎ। ভাষা বস্তুর সেতু ফিরে ফিরে নির্মিত হয় যেন। কেননা সচরাচর যাকে আমরা বাস্তবতা বলি তা এক জ্ঞানতাত্বিক বিশ্ববীক্ষণের ফলাফল। মানুষের সভ্যতার ইতিহাস যাকে জ্ঞান ক্ষমতার নিগড় কে দূর্ভেদ্য অটুট রাখার কাজে নিয়োগ করেছে।
তবু জীবনানন্দ আর একটু ছাড়িয়ে যান এই ভাবনা বীজ কে। তিনি লেখেন, এই মহাগজগৎ এই চরাচর এই বস্তু পৃথিবীর আড়ালে যে অন্তহীন কবিতা অনুরণিত হচ্ছে, তার কথা। সে স্বরধ্বনির অস্ফুট মর্মর শুনতে বলেন তিনি।
Poetry alone, which denies and destroys the limitation of things, can return to us  this absence of limitation – in short, the world is given to us when the image we have within us is sacred, because all that is sacred is poetic and all that is poetic is sacred.”  (Literature and Evil / Georges Bataille)
একের পর এক কবিতায় আর গদ্যে জীবনানন্দ ধরে রাখছিলেন এই কথাভুবনকে যে কথারা আকাঙ্খা আর স্মৃতিতে উৎসারিতস্বপ্নের থেকে উঠে আসা সব কথা। রক্তমাংসের। শরীরি। অনুভূতিদেশ থে আলো এসে পড়েছে যাদের মুখে। এক জীবন্ত সত্তা। শরীরের স্বাদ আছে, অনুভব আছে, স্বপ্ন সাধ কল্পনার ইশারা আছে তাদের ভেতরে। আছে দ্বেষ, রিরংসা, প্রেম আর স্মৃতি। আছে বেদনার বোধ। আর আছে প্রাচীন নতুন অভিজ্ঞতার নির্দেশ।

জীবনের বড় শকুন কখনও সাজতে যাননি তিনি। জীবনানন্দ। তাঁর কবিতায়, তাঁর উপন্যাসে আর গল্পে, চরিত্ররা নিছক জবাবদিহি আর পুরষ্কারের ছাঁচে ফেলা যে জীবন, তাকে সাপটে ঘৃণা করে। যেন প্রতিরোধের এক অদৃশ্য দেয়াল তৈরি করছে তারা, এই সভ্যতার শেষহীন স্বার্থচিন্তা, সন্ত্রাস আর লোভের বিরুদ্ধে।
সময়ে সময়ে সে প্রতিরোধ হয়ত আত্মহননের দিকেও টেনে নিয়ে যায় তাদের। তবু আবার ঘুরেও দাঁড়ায় তারা। এই আলো অন্ধকার পথেই নিজেকে খুঁজে পেতে চেষ্টা করে। জীবনের সীমান্তে দাঁড়িয়ে মনে হয় তাদের, চৌকাঠের সঙ্গে দড়ি ঝুলিয়ে কিংবা বিষ খেয়ে যে মরণ, সে রকম মৃত্যু নয়, আউটরাম ঘাটে বেড়াতে সোনালী মেঘের ভিতর অদৃশ্য হয়ে যেতে ইচ্ছে করে; মনে হয় আর যেন পৃথিবীতে ফিরে না আসি  (কারুবাসনা)
ক্রমশ বিপন্নতার এক মানচিত্র যেন রচনা করছিলেন তিনি। ঘুরে ফিরে মৃত্যুর কথা আসে তাঁর লেখায়। যেন মৃত্যু নির্মাণ করছেন তিনি। অথচ যে মৃত্যু আসলে জীবনের উত্তীর্ণ হওয়ার কথাই বলে। তার পাঁক থেকে। তার ক্লেদ আর গ্লানির থেকে। যেখানে মৃত্যু আর জীবনের বীপরীত শব্দ নয়। মুহূর্তের থেকে জন্ম নিয়েও যে ভাষাশরীর সমস্ত মুহুর্তের যা সারাৎসার, সেই আবহমান প্রাণের কথা বলে।
আমরা এক নতুন প্রদেশে প্রবেশ করছি। পৃথিবীর সমস্ত জল ছেড়ে দিয়ে যদি এক নতুন জলের কল্পনা করা যায় কিংবা পৃথিবীর সমস্ত দীপ ছেড়ে দিয়ে যদি এক নতুন প্রদীপের কল্পনা করা যায় তাহলে এই দিন, রাত্রি, মানুষ তার আকাঙ্খা এবং সৃষ্টির সমস্ত ধুলো সমস্ত কঙ্কাল সমস্ত  নক্ষত্রকে ছেড়ে দিয়ে এক নতুন ব্যবহারের কল্পনা করা যেতে পারে যা কাব্য; অথচ জীবনের সঙ্গে যার গোপনীয় সুড়ঙ্গলালিত সম্পূর্ণ সম্বন্ধ; সম্বন্ধের ধূসরতা নূতনতা ( কবিতার কথা)

আর এই সম্পূর্ণ সম্বন্ধের আকাঙ্খাই এক অন্য আলোর জন্ম  দেয় যেন পাঠকের মনে। যা স্বতন্ত্র, অভূতপূর্ব। প্রথমবার জন্ম নিল এক নতুন মহাবিশ্ব যেন। এমনটাই অনুভব হয় তার।
নিঃস্তব্ধতার অন্তস্থল থেকে এক অশ্রুত বিস্ফোরণের শব্দ উঠে আসে তখন। আমাদের স্মৃতি বিনষ্ট হয়েছে। আকাঙ্খার মৃত্যু হয়েছে। স্বপ্নেরা নির্বাসিত। তবু সৃষ্টির এই সব কিছুকে একসাথে বুনে দিয়ে সময় কথা বলে উঠছে এখন। মহাকাল কথা বলে উঠছে আরো অন্য সব সভ্যতার, অন্য সব সময়ের, সৃষ্টির বেদনা আনন্দের নির্যাস নিয়ে।
মানুষের তার পৃথিবীর, বাস্তব কল্পনার, স্মৃতি আর স্বপ্নের এক নতুন মানচিত্র আঁকা হল এখানে। মিলনের শ্বাসরোধী কথারা জন্ম নেবে এখন। আমরা, তাঁর পাঠকেরা, তাদের আগমনের শঙ্খধ্বনি শুনি। 
                                                                                                                        (ক্রমশ)













No comments:

Post a Comment