Wednesday 20 December 2017

দুর্জয় আশরাফুল ইসলাম




দুটি কবিতা

দুর্জয় আশরাফুল ইসলাম




বৃষ্টি নামে বুকের ভিতর
 
উদ্ভাসিত আলো, ভেতরে এত অন্ধকার ছাইভস্ম নিয়ে ভণিতার হাসি ছড়িয়ে দিচ্ছে যদি
ধ্বংসাবশেষের পূর্বাপর আজও চমৎকার; বজ্রকঠিন ক্ষোভ ভেতরে রেখে বাজায় রাগিনী
মেঘগর্ভের থেকে উঠে আসা নৌকো এক আকাশ থেকে অন্য আকাশে যায় কল্পনা ধরে
আমাদের যাওয়া হলো না কোথাও, আমিষগন্ধের নিচে আজও বিজ্ঞাপিত হয় বর্ণ-পরিচয়
পাহাড় হয়ে বসে বোবা-ভাষা, ব্রহ্মাণ্ডের নাভি উগরে যায় বেদনায়, হো হো হাসে সমকাল
আত্মীয় সমস্ত আজ দূরাতীত জলের হাঁস, রক্তকমল নদী আমি ছেঁড়ে যেতে পারিনি কভু
আমার ঠিকানা শবাধার, চন্দ্রমাস ঘুরে যে পাশ কাটিয়ে চলে যায় জ্যোৎস্না দেশের রমণীরা
তাদের মুখ যদিও লিখে রাখি হাওয়ার ক্যানভাসে, সে ছিড়েফুড়ে যায় আরেক হাওয়ায় -
থাকে স্তব্ধতা, অভিশাপ মোড়কে থাকা ঈশ্বরীর প্রেম, অবান্তর যাবনের দীর্ঘ সব কৌশল
গির্জার ধ্বনির মতো বাজতে থাকা বেদনা, কত শতাব্দীকাল পেরিয়ে বুকে অক্ষত ক্রশ
সীমাহীন ব্যর্থতার স্মারক হয়ে শেখাতে আসে, আর সমস্ত চরাচর ধরে বৃষ্টি নামে অঝোর।



আবার যখন দেখা হলো
 
দেখা হলো ফের যখন
উল্টো ডানায় তার
আটকে আছে
কিছু রোদ,
সকাল আসি আসি বার্তা!
কুয়াশা বিন্দু মতো
সতর্ক সন্ধিপথ
খুঁজে বেড়ানো
হাওয়া এসে
ঠেলে দিচ্ছিলো জানলা।
অনেক বেশি ছুটোছুটি
ছিলো বলে ক্লান্তি,
রাত প্রহরে এসে থামিয়ে
দিয়ে গিয়েছিল
ভাঙা লণ্ঠনের নিচে।
দেখা হওয়ার আকস্মিকতা,
চক্ষুষ্মান যেহেতু নয়
কে থামায় থাকে আর
বালক বেলার কবিতা
নির্মাণের পর প্রথম হলো দেখা।
আমারও ছিলো তাড়া
সকালের যান ছুটে যায়
আর স্বয়ংক্রিয় উড্ডয়ন
গোপন থেকে মেলে দিলে হাত
ভাবলাম পৃথিবী চক্রাকার
কে জানতো এই শেষবার
লেপ্টে যাবে ডানা,
এসে দেখবো রঙের পসরা
আর স্মৃতি এক শর্ষে ক্ষেত,
নড়ে উঠছে বার প্রতিবার!

No comments:

Post a Comment